ছোট্ট দুটি গল্প
বহুদিন কিছু লেখা হয়নি, মানে কাজের চাপে আর তালেগোলে একেবারেই সময় করে ওঠা
হয় না। এদিকে অনেক কিছু লেখার প্ল্যান করে রেখেছি। আস্তে আস্তে আবার লেখার
অভ্যেসটা ফিরিয়ে আনতে হবে। তাই ভাবলাম আজ ছোট্ট দুটো গল্প দিয়েই শুরু করি।
ঠিক গল্প নয় যদিও, সত্যি ঘটনা।
দুটো ঘটনাই শিকাগো নিয়ে। সেরকম মারাত্মক স্পেশ্যাল কিছু নয়। তবে কয়েকদিন আগেই জানতে পারলাম এই দুটো ঘটনার কথা, আর আমার মনে হয় বাকিদের জানানোটাও একটা কর্তব্য। আজ আমরা যা করব, তা যে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটার একটা জ্বলন্ত উদাহরণ এটা।
বিখ্যাত (বা কুখ্যাত) ক্রিমিনাল আল কাপোনের নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন। একসময়
শিকাগোর সর্বেসর্বা ছিলেন এই মাফিয়া। যেকোনো রকমের ক্রাইমেই তাঁর সুনাম আর
পারদর্শিতা দুইই ছিল। খুন, জখম, রাহাজানি থেকে শুরু করে ড্রাগ বা মেয়ে
পাচারের ব্যবসা সবেতেই সমান ছিলেন আল কাপোনে। আর এই করে করে প্রচুর বড়লোক
হয়ে গিয়েছিলেন। খুবই স্বাভাবিক, নয় কি?
তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হল যে কোনোদিন আইনের কাছে পরাস্ত হননি আল কাপোনে। পুলিশ তাকে ধরলেও বিচারকের শ্যেনদৃষ্টি এড়িয়ে সবসময়ই ফাঁক খুঁজে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন এই দুর্ধর্ষ গ্যাংস্টার। আর এর সমস্ত কৃতিত্বের দাবীদার হলেন তাঁর উকিল – 'ইজি এডি' নামেই যিনি পরিচিত ছিলেন। এই গল্প আজ তাকে নিয়েই।
শোনা যায়, এডি নিজের পেশায় ছিলেন অদ্বিতীয়। ক্রিমিনাল লইয়ার হিসেবে তাঁর জুড়ি মেলা ছিল ভার। আইন যত পোক্তই হোক না কেন, ঠিক তাঁর কোনও একটা খুঁত বের করে সেটাকে কাজে লাগাতেন এই ভদ্রলোক। আর তাঁর দক্ষতাতেই কাপোনেকে দীর্ঘদিন পুলিশ জেলে ঢোকাতে পারেনি। স্বাভাবিকভাবেই কাপোনে প্রচুর মাইনে দিতেন এই উকিলকে। শুধু তাই নয়, এর সাথে আরও প্রচুর সুযোগ ভোগ করতেন এডি। টাকার অভাব ছিল না আল কাপোনের। তাঁর উকিলকে স্বাচ্ছন্দ্যে রাখার জন্য তাই বিশাল একটি ম্যানসন বানিয়ে দিয়েছিলেন। শিকাগোর বুকে এই ম্যানসন প্রায় একটু পুরো ব্লক নিয়ে ছিল। যারা ব্লক সম্পর্কে খুব ভালো জানেন না, সাধারণত এক একটি ব্লক ১৬০,০০০ বর্গফুট নিয়ে থাকে। বুঝতেই পারছেন এডি এবং তাঁর পরিবার কিরকম সুখে থাকতেন।
কিন্তু এই বিশাল টাকায় মোড়া আপাত সুখী জীবনের মোহ একদিন অবশেষে কাটল এডির। ক্রিমিনাল লইয়ার হিসেবে সারাদিন আইনবিরুদ্ধ কাজ নিয়ে নাড়াচাড়া করতে হলেও এডি সবসময় চেয়েছিলেন নিজের ছেলেকে ঠিক-ভুলের ফারাক শেখাতে। পৃথিবীর অন্যতম সেরা গ্যাংস্টারের উকিল বলেই বোধহয় খুব তাড়াতাড়ি তিনি বুঝেছিলেন ছেলেকে এর থেকে বাইরে রাখাটাই শ্রেয়।
আর এই মনোভাবই শেষ অবধি কাল হয়ে দাঁড়ায় এডির কাছে। সমস্ত ভুল সংশোধন করার উদ্দেশ্যে একদিন পুলিশের কাছে গিয়ে সব ঘটনাই খুলে বলেন এই ভদ্রলোক। আল কাপোনে ঘুণাক্ষরেও টের পাননি যে এরকম ঘটতে চলেছে। যখন পেলেন, তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে।
তবে এর শোধ নিতে দেরি করেননি কাপোনে। স্বীকারোক্তি দেওয়ার কিছু বছরের মধ্যে শিকাগোর এক শুনশান রাস্তায় অবিরাম গুলিবর্ষণ হয় ইজি এডির ওপর। পুলিশ যখন তাঁর রক্তাক্ত দেহ খুঁজে পায় তখন এডি ইহলোকের মায়া কাটিয়েছেন। এডির পকেট থেকে পাওয়া গিয়েছিল রবার্ট স্মিথের একটি কবিতা,
“The clock of life is wound but once,
And no man has the power
To tell just when the hands will stop
At late or early hour.
To lose one's wealth is sad indeed,
To lose one's health is more,
To lose one's soul is such a loss
That no man can restore.
The present only is our own,
So live, love, toil with a will,
Place no faith in "Tomorrow,"
For the Clock may then be still.”
এটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ঘটনা। আমেরিকার একজন লেফটেন্যান্ট ছিলেন
বুচ ওহেয়ার। আরও একটু বিশদে বলতে গেলে তিনি ছিলেন এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার
লেক্সিংটনের এক ফাইটার প্লেনের পাইলট।
একদিন বুচ এবং তাঁর পুরো স্কোয়াড্রনকে একসাথে পাঠানো হয় এক মিশনে, কিন্তু আকাশে উড়েই বুচ লক্ষ্য করেন যে একটা মারাত্মক ভুল হয়ে গিয়েছে। পুরো মিশন শেষ করে আসার মত জ্বালানী নেই প্লেনে। যার ওপর সেই দায়িত্ব ছিল, তাঁর ভুলেই এই গণ্ডগোল। অন্য কোনও উপায় না দেখে বুচ পিছু হটতে বাধ্য হন, আর বেসক্যাম্পের দিকে রওনা দেন।
হঠাৎ ফিরতিপথে বুচের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এক ভয়ঙ্কর দৃশ্য। তিনি দেখেন যে একদল জাপানী ফাইটার প্লেন উড়ে চলেছে আমেরিকান ফ্লিটের উদ্দেশ্যে। বুচের অভিজ্ঞতা নিমেষে বুঝিয়ে দেয় যে এ এক উভয়সংকট – আগেভাগে গিয়ে ফ্লিটকে সতর্ক করা এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া যেরকম অসম্ভব, সেরকমই অসম্ভব স্কোয়াড্রনকে খবর দিয়ে তাদের নিয়ে এসে জাপানীদের আক্রমণ করা। এক মুহূর্তের অপেক্ষা, তারপরই বুচ সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন কি করা উচিত তার।
নিজের কথা সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে প্লেন নিয়ে তিনি একাই আক্রমণ করেন পুরো জাপানী স্কোয়াড্রনের দিকে। প্রচণ্ড দক্ষতার সাথে এদিক থেকে ওদিকে উড়তে উড়তে একের পর এক গুলি চালাতে থাকেন সবকটা প্লেনের দিকে। হতচকিত জাপানী পাইলটেরা কি করবে বুঝে ওঠার আগেই উপর্যুপরি গুলি আসতে থাকে তাদের দিকে।
বলা বাহুল্য, বুচের উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ সফল হয়েছিল। এই হঠাৎ আক্রমণে পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জাপানী স্কোয়াড্রন। এমনকি গুলি শেষ হয়ে যাওয়ার পরও বিন্দুমাত্র না দমে বুচ নিজের প্লেন নিয়ে সোজা গিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করছিলেন শত্রু প্লেনের গায়ে। আর এই পুরো সময়টাতেই অসামান্য দক্ষতায় নিজেকে এবং নিজের প্লেনকে অক্ষত রেখেছিলেন তিনি। শেষ অবধি তিনি পাঁচটি জাপানী এয়ারক্রাফটকে ধ্বংস করতে পেরেছিলেন। খুবই স্বাভাবিকভাবে, কিছুক্ষণ পর রণে ভঙ্গ দিয়ে ফেরত যায় বিপর্যস্ত জাপানী স্কোয়াড্রন।
বুচ নিশ্চিন্ত হয়ে ফিরে যান ফ্লিটে আর গিয়ে সবই জানান। প্লেনের গায়ে বসানো ক্যামেরা থেকে পুরো ঘটনাটাই দেখতে পান বাকি অফিসারেরা। এই ঘটনার অব্যবহিত পরেই আমেরিকান নেভির হয়ে প্রথম WWII Flying Ace হওয়ার গৌরব অর্জন করেন তিনি। মেডেল অফ অনারও দেওয়া হয় বুচকে।
এক বছর পর মাত্র ঊনত্রিশ বছর বয়সে যুদ্ধক্ষেত্রেই মৃত্যুবরণ করেন এই পাইলট। তাঁর এই সাহসী জীবনের সবচেয়ে বড় স্বীকৃতি তিনি পান তাঁর শহরের লোকেদের থেকে। শিকাগোর বাসিন্দা লেফটেন্যান্ট বুচ ওহেয়ারের নামেই এই শহরের ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের নাম ওহেয়ার ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট।
পুনশ্চঃ বলতে ভুলে গেছি, বুচ ওহেয়ারের বাবার নাম ছিল এডওয়ার্ড জে ওহেয়ার, যাকে সবাই 'ইজি এডি' বলেই চিনত। শেষ জীবনে ভদ্রলোকের সৎ হওয়ার চেষ্টা বৃথা যায়নি, কি বলেন?
দুটো ঘটনাই শিকাগো নিয়ে। সেরকম মারাত্মক স্পেশ্যাল কিছু নয়। তবে কয়েকদিন আগেই জানতে পারলাম এই দুটো ঘটনার কথা, আর আমার মনে হয় বাকিদের জানানোটাও একটা কর্তব্য। আজ আমরা যা করব, তা যে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটার একটা জ্বলন্ত উদাহরণ এটা।
গল্প ১
তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হল যে কোনোদিন আইনের কাছে পরাস্ত হননি আল কাপোনে। পুলিশ তাকে ধরলেও বিচারকের শ্যেনদৃষ্টি এড়িয়ে সবসময়ই ফাঁক খুঁজে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন এই দুর্ধর্ষ গ্যাংস্টার। আর এর সমস্ত কৃতিত্বের দাবীদার হলেন তাঁর উকিল – 'ইজি এডি' নামেই যিনি পরিচিত ছিলেন। এই গল্প আজ তাকে নিয়েই।
শোনা যায়, এডি নিজের পেশায় ছিলেন অদ্বিতীয়। ক্রিমিনাল লইয়ার হিসেবে তাঁর জুড়ি মেলা ছিল ভার। আইন যত পোক্তই হোক না কেন, ঠিক তাঁর কোনও একটা খুঁত বের করে সেটাকে কাজে লাগাতেন এই ভদ্রলোক। আর তাঁর দক্ষতাতেই কাপোনেকে দীর্ঘদিন পুলিশ জেলে ঢোকাতে পারেনি। স্বাভাবিকভাবেই কাপোনে প্রচুর মাইনে দিতেন এই উকিলকে। শুধু তাই নয়, এর সাথে আরও প্রচুর সুযোগ ভোগ করতেন এডি। টাকার অভাব ছিল না আল কাপোনের। তাঁর উকিলকে স্বাচ্ছন্দ্যে রাখার জন্য তাই বিশাল একটি ম্যানসন বানিয়ে দিয়েছিলেন। শিকাগোর বুকে এই ম্যানসন প্রায় একটু পুরো ব্লক নিয়ে ছিল। যারা ব্লক সম্পর্কে খুব ভালো জানেন না, সাধারণত এক একটি ব্লক ১৬০,০০০ বর্গফুট নিয়ে থাকে। বুঝতেই পারছেন এডি এবং তাঁর পরিবার কিরকম সুখে থাকতেন।
কিন্তু এই বিশাল টাকায় মোড়া আপাত সুখী জীবনের মোহ একদিন অবশেষে কাটল এডির। ক্রিমিনাল লইয়ার হিসেবে সারাদিন আইনবিরুদ্ধ কাজ নিয়ে নাড়াচাড়া করতে হলেও এডি সবসময় চেয়েছিলেন নিজের ছেলেকে ঠিক-ভুলের ফারাক শেখাতে। পৃথিবীর অন্যতম সেরা গ্যাংস্টারের উকিল বলেই বোধহয় খুব তাড়াতাড়ি তিনি বুঝেছিলেন ছেলেকে এর থেকে বাইরে রাখাটাই শ্রেয়।
আর এই মনোভাবই শেষ অবধি কাল হয়ে দাঁড়ায় এডির কাছে। সমস্ত ভুল সংশোধন করার উদ্দেশ্যে একদিন পুলিশের কাছে গিয়ে সব ঘটনাই খুলে বলেন এই ভদ্রলোক। আল কাপোনে ঘুণাক্ষরেও টের পাননি যে এরকম ঘটতে চলেছে। যখন পেলেন, তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে।
তবে এর শোধ নিতে দেরি করেননি কাপোনে। স্বীকারোক্তি দেওয়ার কিছু বছরের মধ্যে শিকাগোর এক শুনশান রাস্তায় অবিরাম গুলিবর্ষণ হয় ইজি এডির ওপর। পুলিশ যখন তাঁর রক্তাক্ত দেহ খুঁজে পায় তখন এডি ইহলোকের মায়া কাটিয়েছেন। এডির পকেট থেকে পাওয়া গিয়েছিল রবার্ট স্মিথের একটি কবিতা,
“The clock of life is wound but once,
And no man has the power
To tell just when the hands will stop
At late or early hour.
To lose one's wealth is sad indeed,
To lose one's health is more,
To lose one's soul is such a loss
That no man can restore.
The present only is our own,
So live, love, toil with a will,
Place no faith in "Tomorrow,"
For the Clock may then be still.”
গল্প ২
একদিন বুচ এবং তাঁর পুরো স্কোয়াড্রনকে একসাথে পাঠানো হয় এক মিশনে, কিন্তু আকাশে উড়েই বুচ লক্ষ্য করেন যে একটা মারাত্মক ভুল হয়ে গিয়েছে। পুরো মিশন শেষ করে আসার মত জ্বালানী নেই প্লেনে। যার ওপর সেই দায়িত্ব ছিল, তাঁর ভুলেই এই গণ্ডগোল। অন্য কোনও উপায় না দেখে বুচ পিছু হটতে বাধ্য হন, আর বেসক্যাম্পের দিকে রওনা দেন।
হঠাৎ ফিরতিপথে বুচের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এক ভয়ঙ্কর দৃশ্য। তিনি দেখেন যে একদল জাপানী ফাইটার প্লেন উড়ে চলেছে আমেরিকান ফ্লিটের উদ্দেশ্যে। বুচের অভিজ্ঞতা নিমেষে বুঝিয়ে দেয় যে এ এক উভয়সংকট – আগেভাগে গিয়ে ফ্লিটকে সতর্ক করা এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া যেরকম অসম্ভব, সেরকমই অসম্ভব স্কোয়াড্রনকে খবর দিয়ে তাদের নিয়ে এসে জাপানীদের আক্রমণ করা। এক মুহূর্তের অপেক্ষা, তারপরই বুচ সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন কি করা উচিত তার।
নিজের কথা সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে প্লেন নিয়ে তিনি একাই আক্রমণ করেন পুরো জাপানী স্কোয়াড্রনের দিকে। প্রচণ্ড দক্ষতার সাথে এদিক থেকে ওদিকে উড়তে উড়তে একের পর এক গুলি চালাতে থাকেন সবকটা প্লেনের দিকে। হতচকিত জাপানী পাইলটেরা কি করবে বুঝে ওঠার আগেই উপর্যুপরি গুলি আসতে থাকে তাদের দিকে।
বলা বাহুল্য, বুচের উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ সফল হয়েছিল। এই হঠাৎ আক্রমণে পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জাপানী স্কোয়াড্রন। এমনকি গুলি শেষ হয়ে যাওয়ার পরও বিন্দুমাত্র না দমে বুচ নিজের প্লেন নিয়ে সোজা গিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করছিলেন শত্রু প্লেনের গায়ে। আর এই পুরো সময়টাতেই অসামান্য দক্ষতায় নিজেকে এবং নিজের প্লেনকে অক্ষত রেখেছিলেন তিনি। শেষ অবধি তিনি পাঁচটি জাপানী এয়ারক্রাফটকে ধ্বংস করতে পেরেছিলেন। খুবই স্বাভাবিকভাবে, কিছুক্ষণ পর রণে ভঙ্গ দিয়ে ফেরত যায় বিপর্যস্ত জাপানী স্কোয়াড্রন।
বুচ নিশ্চিন্ত হয়ে ফিরে যান ফ্লিটে আর গিয়ে সবই জানান। প্লেনের গায়ে বসানো ক্যামেরা থেকে পুরো ঘটনাটাই দেখতে পান বাকি অফিসারেরা। এই ঘটনার অব্যবহিত পরেই আমেরিকান নেভির হয়ে প্রথম WWII Flying Ace হওয়ার গৌরব অর্জন করেন তিনি। মেডেল অফ অনারও দেওয়া হয় বুচকে।
এক বছর পর মাত্র ঊনত্রিশ বছর বয়সে যুদ্ধক্ষেত্রেই মৃত্যুবরণ করেন এই পাইলট। তাঁর এই সাহসী জীবনের সবচেয়ে বড় স্বীকৃতি তিনি পান তাঁর শহরের লোকেদের থেকে। শিকাগোর বাসিন্দা লেফটেন্যান্ট বুচ ওহেয়ারের নামেই এই শহরের ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের নাম ওহেয়ার ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট।
পুনশ্চঃ বলতে ভুলে গেছি, বুচ ওহেয়ারের বাবার নাম ছিল এডওয়ার্ড জে ওহেয়ার, যাকে সবাই 'ইজি এডি' বলেই চিনত। শেষ জীবনে ভদ্রলোকের সৎ হওয়ার চেষ্টা বৃথা যায়নি, কি বলেন?
Comments
Post a Comment