Posts

Showing posts from 2013

চলা

সাগরমাঝে ছোট্ট একটা দ্বীপ, যেন রূপকথারই সবপেয়েছির দেশ - স্বপ্নালু চোখে চাই, আনন্দ খুঁজি হেন, চাই না তো কোনো দুঃখ-কষ্ট-ক্লেশ। খুঁজে ফিরি সেই সুখ; যদি জোটে, বুঝেও বুঝি না, জীবন সেথা থেমে - দিনগুলো সব ছদ্মসুখেরই বটে, মুক্তি খুঁজি অগাধ জলে নেমে। দূরপানেতে ভাসছে দেখি তরী, আমার মতই লক্ষ্যহারা বুঝি; সাঁতরে গিয়ে আঁকড়ে তাকে ধরি, একসাথেতে সুখের হদিশ খুঁজি। সেই যে শুরু, তিনটি বছর পার; চলছি তবু, হর্ষ সদাই মনে, জীবনতরী বাইব জীবনভর - ঝঞ্ঝা যতই আসুক ঈশানকোণে।

কথোপকথন নাকি খিচুড়ি

রোববারের সকাল। সাতটার দিকে হঠাৎ কোনো এক অজানা কারণে ঘুমটা চটকে গেল। অবশ্য তাতে খুব বেশি কিছু এল-গেল না। মানে এই পি-এইচ-ডি -এর জীবনে রবি-সোম সবই একরকম। অগাধ সময় পাওয়া যায়, কিন্তু করব করব করে আর কিছুই করা হয়ে ওঠে না। এমনকি আমার তো এ সন্দেহও হয় মাঝে মাঝে যে আদৌ শেষ অবধি ডিগ্রীটা পাব তো! যাকগে, ঘুমটা যখন ভেঙেই গেল, অহেতুক সময় নষ্ট না করে কিছু কাজের কাজ করবই, এই ভেবে বেজায় উৎসাহ নিয়ে উঠে পড়লাম। ফ্রেশ হয়ে এক কাপ চা বানিয়ে কি করি কি করি ভাবতে ভাবতে অভ্যাসবশে ল্যাপটপটা অন করে ফেলেছি, তখনই দুম করে আইডিয়াটা মাথায় চলে এল। অনেকদিন ব্লগটায় লেখা হয়নি, আজ বরং একটা কিছু লিখে ফেলা যাক। তো মেল-টেল চেক করে চুপ করে বসে ভাবছি কি লিখব, এমন সময় - 'পিড়িং'। মানে ওই আর কি - কেউ একটা এই সাতসকালে চ্যাট করে সময় কাটাতে চায়। খুলে দেখি, আমার এক দূরসম্পর্কের দাদা, যার সঙ্গে আমার বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। তার আবার সদ্য বিয়ে হয়েছে, মানে একটু বেশি বয়সেই। আর বিয়ের পর থেকেই, জানি না কেন, এই দাম্পত্যজীবন নিয়ে আমার কাছে নানা পরামর্শ চায়। বস্তুত, বিয়ের পর থেকে অন্য কিছু নিয়ে আর কথা বলেই না আজকাল। আজও সেরকমই কিছু হবে ন

একা

মাঝরাত্তিরে একলা সাথী কফির কাপে ধোঁওয়া; আবছা আঁধার তোকেই খোঁজে - মনখারাপের ছোঁওয়া। তুষারপাতের ঠান্ডা হাওয়ায় বাজছে করুণ সুর - আজকে বড়ই অবুঝ স্মৃতি; তোর নেশাতেই চুর। রাত কিবা দিন শুধু তুইময়, তোর চিন্তায় মগ্ন; আজ তবু ঘরে একা বসে রই আমি, কফি আর স্বপ্ন।

শীত

শিশির জমে ঘাসের 'পরে, মলিন রঙের খেলা, শরত বলে, 'আর দেরী নয়, এবার যাওয়ার পালা।' গাছের পাতা লুটায় ভূমে, শুষ্ক হলো ধরা; শীতের কবল হঠাৎ দেখি নাড়ছে দোরে কড়া। স্মৃতির পটে উঠল ভেসে - শীত মানে তো আয়েস, পৌষপাবণে পিঠের সাথে খেজুর গুড়ের পায়েস; শীত মানে তো মায়ের হাতে গরম কাপড় বোনা, খাবার পাতে নিত্যনতুন সবজি আনাগোনা। শীতের ভোরে সবাই মিলে বনভোজনে দূরে, শীত মানে যে সরস্বতী - অঞ্জলি এক সুরে। আজ এখানে শীতটা আছে, হারিয়ে গেল বাকি, এগিয়ে চলার ছদ্মসুখে জীবন দিল ফাঁকি। সতেজ মধুর সেই শৈত্য, স্বপ্নসুখে গাঁথা; তুষারপাতে হাঁটছি একা - শুষ্ক মলিন হেথা।

হত্যা

রাত তখন ঐ দশটা হবে, একলা মেয়ে সে ফিরছে ঘরে; সুন্দরী আর স্বাস্থ্যবতী - কামুক পুরুষ লুফেই নেবে, অভিজ্ঞ চোখ যাচাই করে। কুয়াশা ধীরে রাস্তা ভরে, ল্যাম্পপোস্টে আবছা আলো; এগিয়ে চলি এক পা-দু' পা - দেখতে লাগি দু'চোখ ভরে, সত্যি এ মেয়ের গড়ন ভালো। নির্জন পথ, শীতের রাত- কুকুরগুলোও গভীর ঘুমে, হঠাৎ দেখি চার মস্তান - বাড়ায় তারা হিংস্র হাত- হতভাগী আজ পুড়বে কামে। আড়াল থেকে দেখতে থাকি চারজনেতে ঘিরে ধরে, শীতের রাতে উষ্ণ দেহ - আর কিছু না রাখল বাকি, তৃপ্ত দেহ ক্ষণিক পরে। এগিয়ে দেখি সব পালালে, দু'খানা শরীর, রক্ত ঝরে। চমকে দেখি দ্বিতীয়টাকে - গভীর ক্ষত হৃদয়জালে - নিহত বিবেক রইল পড়ে।

আলসেমি

আলসেমিটা জাঁকিয়ে বসে মনের মাঝে দিনকে দিন। বছর পঁচিশ কাটল সবে, চল্লিশটা যেদিন হবে - শয্যা ছেড়ে উঠব কিনা সেই আশাটা বড়ই ক্ষীণ! তোর ডাকেতে খেলতে গেলাম কাল বিকেলে ক'মাস পরে - মিনিট পাঁচেক যেই ছুটেছি, বার দুই তিন বল পিটেছি, "আর কেন হে! ক্ষান্ত দে", হাড়ক'খানা বিরোধ করে। থমকে দাঁড়াই চুলকে মাথা, অনেক ভাবি এপাশ ওপাশ - "শরীরের নাম মহাশয়, যা সওয়াবে তাইই সয়", বলেই গেছেন মহান লোকে, হৃদয়মাঝে নতুন আশ। সইল না তো শরীরখানি, আফসোসেতেই মরি; কাঁদছে ব্যথায় মাংসপেশী, ধুঁকছে দেখ হাড়ের রাশি, আর কি করা! এখন শুধু খসবে গাঁটের কড়ি। এবার থেকে দিব্যি জানি, 'আলসেমিটাই সবচে ভালো'; আর হব না ভুলেও রাজি - শরীর নিয়ে মামদোবাজি?! মিথ্যে কেন আমায় বলা, ঘি কেন আর ভস্মে ঢালো!

মনস্বিতা

কৃশকায় দেহ, শ্যামলা বর্ণ, খরখরে দাড়ি গালে, ভাবুক চাহনি ইতিউতি চায়, চিন্তার ছাপ ভালে, বহু আগে কাচা হলদেটে এক পাঞ্জাবী পরনেতে - আনমনা যুবা বটগাছতলে বসে খাতা-পেন হাতে। বহুজনে বলে কবি হওয়া শুধু জীবনের ভুলচুক, আমি তবু হায়, ওর কবিতায় পাই অবিরাম সুখ। গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে চলি সে বটগাছটার পানে, কাছে যেতে কবি মুখ তুলে চায়, হৃদয়ে আঘাত হানে; "নাম কি তোমার?" জিজ্ঞাসে কবি, অন্তর্ভেদী দৃষ্টি; "চাই না সে নাম, হতে চাই শুধু তব অপরূপ সৃষ্টি, নিজের কলমে গড়ে নাও তুমি আমার জীবনখানি।" হতবাক কবি কিছু পরে বলে খাতা-পেন কাছে টানি, "রঞ্জনা নয় বেলা বোসও না, নয় সেন বনলতা - আজ হতে তুমি বিখ্যাত হলে রূপসী মনস্বিতা।"

সহজিয়া

"বুড়ো এক আধধেড়ে", ছোট্ট খুকু চোখ পাকিয়ে বলল আমায় তেড়ে, "তোমার সাথে আড়ি! কিসব লেখো ছাইপাঁশ সব সহজ ছড়া ছাড়ি, কত্ত কঠিন লেখা - ইশ্কুলে তো হয়না দেখি এসব বলা শেখা।" করুণ মুখে বলি, "আর ভুল নয়, এবার থেকে তোমার কথায় চলি; লিখব নতুন কিছু - সেথায় পাবে আম-কলা আর কাঁঠাল কিংবা লিচু; সবুজ তোতা-টিয়ে, গাইবে তারা সহজ সুরে সহজ কথা দিয়ে; সিংহ বাঘে মিলে নাইতে যাবে গরুর সাথে পদ্মপুকুর ঝিলে। রাজা-রানীর দেশে থাকবে সবাই হাসি-মজায়, থাকবে সবাই মিশে।" "শুধুই মজা? ছি! দৈত্য-দানব নাই যদি রয়, করবে রাজায় কি? বোকাই রয়ে গেলে, দুষ্টু লোক তো সবেই থাকে!", বেজার খুকু বলে। সত্যি কথাই বটে, ছোট্ট হলেও খুকুর দেখি বুদ্ধি বেদম ছোটে। "আর ভেবো না যাও, এবার থেকে তেমনি পাবে ঠিক যেরকম চাও।" খুকুর মুখে হাসি, শান্ত হলো মনটা এবে, লিখতে আবার বসি; মনের মাঝে সাধ, মন্দ-ভালো যাই না লিখি, শক্ত কথা বাদ। 

তিস্তা

আজ বরষার বাদলধারায় পড়ছে শুধুই মনে, কান্না-হাসি-গল্প-মজা নিত্য তোমার সনে, স্কুল পালিয়ে হঠাৎ কোনো শান্ত বিকেলবেলা - অস্ত যাবে সূর্য যখন, তোমার সিঁদুরখেলা; একলা দুপুর তোমার সাথে শহর ছেড়ে দূরে - বইত ও মন যখন-তখন ভাটিয়ালির সুরে। তোমার সাথে শৈশবটা ষোলো আনাই খাঁটি, হারিয়ে গেল হঠাৎ করেই গন্ধ সোঁদা-মাটি। বাজত যেমন জলতরঙ্গ বৃষ্টিমুখর দিনে, পাইনা হেথায় এ পরবাসে, তিস্তা, তোমা বিনে। আজ বৃষ্টির শব্দ শুনি চক্ষুদুটি বুজে, স্ব্পনমাঝে বেড়াই শুধু ইষ্টিকুটুম খুঁজে।

সেই লোকটা

সালটা ১৯৯৩ বোধহয়।  তখন সদ্য সদ্য পড়তে শিখেছি। মানে শুধু স্বরবর্ণ ব্যাঞ্জনবর্ণ নয়, রীতিমত উপুড় হয়ে শুয়ে বুকে বালিশ গুঁজে, ছোট্ট ছোট্ট পা দুটো দোলাতে দোলাতে গল্পের বই গোগ্রাসে পড়ার কথা বলছি। ওই সময়টাকে আজকালকার ছেলেমেয়েরা কল্পনায়ই আনতে পারবে না বোধহয়। বাড়িতে খুব ছোট্ট একটা সাদা-কালো টিভি একমাত্র বিনোদনের মাধ্যম। তাও সিরিয়াল বা সিনেমা (মানে আমি গুগাবাবার কথা বলছি না) দেখার ব্যাপারে বেশ বড় বয়স অবধি আমার নিজের ইচ্ছে বা বাবা-মায়ের অনুমতি কোনটাই ছিল না। অবসর সময়ে বিনোদন বলতে তাই বিভিন্ন স্বাদের গল্পের বই। আর বাড়িতে সাড়ে পাঁচ বছরের বড় বইপাগল দাদা থাকায় গল্পের বইয়ের অভাব কখনই হয়নি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সমস্ত ধরনের বই পড়তে দেওয়া হত না তখন (অবশ্য ওই বয়সে আমাকে 'লজ্জা' পড়তে দিলে কিছু বুঝতাম তো না-ই, উল্টে হয়তো কৌতুহলের চোটে বখেই যেতাম), তাই নতুন পুরনো আনন্দমেলাই ছিল প্রধান সঙ্গী। তো এরকমই একদিন ১৯৯১ সালের একটা আনন্দমেলা (স্মৃতির ওপর ভর করে বলছি, মোটের ওপর বেশ পুরোনো) হাতে পাই বাড়ির কোনো এক কোণ থেকে আর ধুলো ঝেড়ে নিয়ে গিয়ে বসি বিছানায়। সেই সংখ্যাটা ছিল এক বিস্ময় বালক কে নিয়ে, যে কিনা মাত্র ষ

দাদার বিপদ

পড়ল দাদায় প্রেমের জালে, রঙবেরঙের শরতকালে; জানবে কি কেউ, শঙ্কা মনে, মা-বাবা বা বন্ধুজনে। বলল আমায়, "রাখিস গোপন, ছড়াস যদি, পিটব তখন। চাইনা আমি জানুক লোকে, পোড়ারমুখো শুধুই ঠোকে।" কিন্তু হায় রে, ভাগ্যরেখা - বদলে নতুন যায় না লেখা; কি কুক্ষণেই সেই দু' ছেলে আসলো সেদিন এদিক বলে, আর কি করা জানল সবই, ভুলবে কি আর ভবের ভবী। একান ওকান পাঁচকানেতে - ছড়িয়ে গেল হাওয়ার সাথে। "বকল নাকি?" বন্ধু বলে, "নন্দ ঘোষ কি তোকেই পেলে?" বকবে কেন? এখন চুপ, ভাবছে এ কি অন্ধকূপ! এখন দাদা বড়ই চাপে, উত্তেজনায় বেজায় কাঁপে, চুলকে দাড়ি ছিঁড়ছে চুল - হচ্ছে সবাই চক্ষুশূল।

শুরুর কবিতা

সেদিন শীতের খুব সকালে, কাক-পাখি সব নিদ্রাজালে; এমন সময় হঠাৎ করেই ভাঙল আমার ঘুম। অলস পায়ে শয্যা ছেড়ে, প্রাতঃকর্ম প্রথম সেরে; যেইনা তাকাই আয়্নাপানে, সব শান্তি গুম। চুল পেকেছে কানের পাশে, আয়না যেন নীরব হাসে - 'বয়স হলো, আর ছোটো নও, এবার কিছু করো। ' এক-দুই-তিন গুনতে বসি, খুব যত্নে হিসেব কষি, দশ-কুড়ি নয়, পাক্কা পঁচিশ বছর গেলো মোর-ও। অভিজ্ঞতার ভাঁড়ারখানি খুব ছোটো নয় দিব্যি জানি, সাতসতেরো ভাবতে বসি, কোথায় কাকে বলি; সঙ্গে কোটি ভাবনা-চিন্তা নাচছে মনে তা-ধিন-ধিনতা সমাজ-বদল, চলচ্চিত্র কিংবা গানের কলি। সন্দেহ হয় বুঝবে কি কেউ, বাপ-মা-দাদা-বন্ধু বা বউ, সাতপাঁচিয়ে ভাবলে দেখি, লেখাই তুরুপ-তাস; ডায়েরীখানি ভরতে থাকি, আর যেটুকু জীবন বাকি, তোমরা যদি একটু বোঝো, মনের মাঝে আশ।  

ফেরা

ফিরছি ঘরে, বিকেল পরে, পায়ের নিচে শুষ্ক পাতা; হিমেল হাওয়ায়, রৌদ্র ছায়ায়, কোকিল রচে জীবনগাথা। ফিরছি ঘরে, দুচোখ ভরে, লাল সবুজ আর হলুদ রঙে; ভাসল ভেলা, পড়ল বেলা, হেমন্তরাগ লাগল বনে। ফিরছি ঘরে, মাথার 'পরে দু-চার কুচি শিশিরকণা; ঝোপের ফাঁকে, চাইছে ও কে, ছোট্ট দেখি কুকুরছানা। ফিরছি ঘরে, দেখছি দূরে, দুইজনেতে প্রেমেই মাতে; গাছের কোণে, সঙ্গোপনে, আলিঙ্গনের উষ্ণতাতে। ফিরছি ঘরে, এ কোন ফেরা, মনমাঝি গায় বিষাদ-সুর; দূর এ দেশে, দিনের শেষে, ঘর কোথা হে, অচিনপুর। ফিরছি তবু, ফিরতে হবে, সামনে চেয়ে নির্নিমেষ; মনখারাপের আগল খুলে, একলা ঘরেই গড়ব দেশ। গোধূলিবেলায়, রঙের খেলায়, রামধনুতে তোমার মুখ; স্বপ্ন গড়ে, ফিরছি ঘরে, জীবন শুধু অলীক সুখ।

প্রথম প্রেম

সেই বাড়িতে প্রথম দেখা গল্প-গানের মজলিশে - মনের মাঝে ফুটল যে ফুল সামলায় তারে আজ কিসে। একাকীত্বের ধ্বজা বয়ে শুধু দিন কাটে নাকো আর, মন হারাল এক পলকেই তল খুঁজে পাওয়া ভার। শেষ শরতের গোধূলিবেলায় জমল পাড়ি সৈকতে, জলের ছোঁওয়ায়, মধুর হাওয়ায় মন উড়ে যায় কোন রথে। তানপুরা-বীণা-সঙ্গীতে পটু প্রেয়সী মনের মতো, শ্রীজাত শোনায় গানের ফাঁকে, বসন্ত সমাগত। তার প্রেম নাকি 'বিকশিত হেম নাই কোনো কাম-গন্ধ', আধভিজে ঠোঁট তবু দুরুদুরু একফোঁটা নেই সন্দ। দেহ-মন আজ চায় শুধু তাকে, প্রথম প্রেমের দাবী - ঋষি থেকে আজ সাধারণ নর খুলল মনের চাবি।