Posts

Showing posts from 2015

আজকের শব্দকল্পদ্রুম

(মূল কবিতা – সুকুমার রায়ের শব্দকল্পদ্রুম )   ঠাস ঠাস দ্রুম দ্রাম, নেই কোনো খটকা এ আওয়াজ আজ চেনা, গুলি গোলা পটকা। চারিপাশে ত্রাহি রব, ভয়ে কান বন্ধ - স্টেডিয়াম জুড়ে শুধু বারুদের গন্ধ। ফুটবলে মেতেছিল, সুখ তবু নাই রে ! ফাটল ও বোমাখানা দুই ক্রোশ বাইরে ! অক্ষত বাড়ি ফেরা, শুধু এইটুকু আশ, বিধাতার অবিচারে উড়ে যায় ট্রেন-বাস ! বুকে বেঁধে বোমা-ভেস্ট আসে দেখ ঐ রে ! নাই কোনো দয়ামায়া, ভয়ডরও নাই রে ! কত বেশি লোকে মরে, শুধু এই চিন্তা - ভিড়মাঝে খুলল সে, গ্রেনেডের পিনটা। এক নয়, দুই নয়, তিনখানা ফাটে রে ! নিমেষেতে উড়ে গেল তিনশত প্রাণ রে ! থিয়েটার-স

ছোট্ট দুটি গল্প

বহুদিন কিছু লেখা হয়নি, মানে কাজের চাপে আর তালেগোলে একেবারেই সময় করে ওঠা হয় না। এদিকে অনেক কিছু লেখার প্ল্যান করে রেখেছি। আস্তে আস্তে আবার লেখার অভ্যেসটা ফিরিয়ে আনতে হবে। তাই ভাবলাম আজ ছোট্ট দুটো গল্প দিয়েই শুরু করি। ঠিক গল্প নয় যদিও, সত্যি ঘটনা। দুটো ঘটনাই শিকাগো নিয়ে। সেরকম মারাত্মক স্পেশ্যাল কিছু নয়। তবে কয়েকদিন আগেই জানতে পারলাম এই দুটো ঘটনার কথা, আর আমার মনে হয় বাকিদের জানানোটাও একটা কর্তব্য। আজ আমরা যা করব, তা যে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটার একটা জ্বলন্ত উদাহরণ এটা। গল্প ১   বিখ্যাত (বা কুখ্যাত) ক্রিমিনাল আল কাপোনের নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন। একসময় শিকাগোর সর্বেসর্বা ছিলেন এই মাফিয়া। যেকোনো রকমের ক্রাইমেই তাঁর সুনাম আর পারদর্শিতা দুইই ছিল। খুন, জখম, রাহাজানি থেকে শুরু করে ড্রাগ বা মেয়ে পাচারের ব্যবসা সবেতেই সমান ছিলেন আল কাপোনে। আর এই করে করে প্রচুর বড়লোক হয়ে গিয়েছিলেন। খুবই স্বাভাবিক, নয় কি? তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হল যে কোনোদিন আইনের কাছে পরাস্ত হননি আল কাপোনে। পুলিশ তাকে ধরলেও বিচারকের শ্যেনদৃষ্টি এড়িয়ে সবসময়ই ফাঁক খুঁজে বেরিয়ে আসতে পেরেছ

দাদু

কয়েকটা ছোট ছোট গল্প শোনাবো বলে আজ সকালে উঠেই ল্যাপটপটা খুললাম। আসলে কাল বিকেল থেকে বড্ড দাদুর কথা মনে পড়ছে। আজ পাঁচ বছর হয়ে গেল মারা গেছেন উনি। হ্যাঁ, নমাসে ছমাসে মনে পড়ে বইকি ওনার কথা। কিন্তু কাল থেকেই বারবার দাদুর বিভিন্ন স্মৃতি মনের মাঝে ভেসে আসছে। আমাকে আর দাদাকে প্রচণ্ড ভালোবাসতেন। আমাদের যেকোনো রেজাল্ট, প্রাইজ বা অন্য যেকোনো ভালো খবর সমস্ত আত্মীয়স্বজনকে জানানোটা ছিল ওনার কাছে সবচেয়ে আনন্দের বিষয়। মা-বাবা-ঠাকুমা কেউই এই আনন্দ থেকে কখনও বঞ্চিত করেনি দাদুকে। সেই ঘুরতে গিয়ে হাতির পিঠে চড়া, রিকশাভাড়া নিয়ে অকারণ তর্ক, কাউকে না বলেকয়ে ডায়মন্ডহারবার ঘুরতে চলে যাওয়া, বুড়ো বয়সে গোগ্রাসে গল্পের বই গেলা – কতশত স্মৃতি জড়িয়ে আছে লোকটাকে ঘিরে। সব তো আর বলার সুযোগ হয় না, তাই ওসবের মধ্যে থেকেই কয়েকটা গল্প শোনাই আপনাদের।   দৃশ্য ১   রান্নাঘর থেকে ঠাকুমা সবে বাটিভর্তি মুড়ি নিয়ে হাঁটা লাগিয়েছে দাদুর ঘরের দিকে, হন্তদন্ত হয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে এল ব্যাজারমুখো লোকটা। আর সকাল সকাল এরকম চেহারার মানে একটাই হতে পারে – প্রাতঃকৃত্য ঠিকঠাক হয়নি আজ।  "এই তো, খাবার নিয়ে আসতে না আসতে

কাল্পনিক

বহুদিন কিছু লেখা হয়না। আসলে জীবনটা বড্ড ম্যাড়মেড়ে হয়ে গেছে। আমি আবার জীবন থেকেই গল্প খুঁজি কিনা। যাই হোক, এটাও একটা সত্যি ঘটনা থেকে নেওয়া। তবে গল্প না বলে অভিজ্ঞতা বলাই ভালো। আর হ্যাঁ, স্থান না বদলালেও কাল আর পাত্র একটু বদলে দিলাম। *** শনিবারের দুপুর। মানে ওই চারটে মত বাজে বোধহয়। এ পোড়া দেশে তো ছাই গ্রীষ্মকালে সন্ধ্যে বলে ব্যাপারটাই উঠে গেছে। সূর্য পশ্চিমের আকাশে ঢলতে শুরুই করে সেই সাতটার পর। দেশে যখন থাকতুম, ওই সময়টায় খেলাধুলো সেরে ফিরে আসতে হত বাড়িতে। গোধূলিবেলার আকাশে তখন কোটি কোটি নীড়মুখো পাখিদের ভিড়। পাড়ার সব বাড়িতে একে একে আলো জ্বলে উঠছে আর ভেসে আসছে একের পর এক শাঁখের আওয়াজ। নাহ, বড্ড নস্টালজিক হয়ে পড়ছি। সেসব দিন যখন ফিরে পাওয়া যাবে না আর, অহেতুক স্মৃতিচারণ করে খুব বেশি লাভ নেই। তার চেয়ে বরং যে গল্পটা, থুড়ি, যে অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেওয়া শুরু করেছিলাম, সেখানে ফিরে যাই। হ্যাঁ, এটা গত শনিবারের কথা। দুপুরের খাওয়া সেরে একটা হালকা ঘুম মেরে দিয়ে তিনটের দিকে উঠে মনে হল, এমন সুন্দর বিকেলটা ঘরে বসে কাটানোর মানেই হয় না। কিছু না হলেও একটু খেলতে যাওয়া উচিত। যেমন ভ