ঘুষ চুরি

(মূল কবিতা : গোঁফ চুরি)

হেডঅফিসের বড়বাবু দিনের শেষে শ্রান্ত,
ব্যাগ গোছাতে চেঁচিয়ে ওঠেন, "এইদিকে আয় কান্ত"।
ছোকরা পি-এ কান্তচরণ হুঙ্কারেতে কাঁপে,
ইতিউতি এপাশওপাশ পরিস্থিতি মাপে।
শান্ত বসের কি যে হলো, পাল্টে গেল ভোল;
হকচকিয়ে কান্ত শুধায়, "কে পাকালো গোল?
ফায়ার করুন, সবায় জানান, ডাকব নাকি পুলিশ?"
"লিগ্যাল প্রসেস? পাগল নাকি? হতচ্ছাড়া ফুলিশ!"
"সাবধানেতে কইবি কথা, সবার ঘোরাঘুরি,"
বাবু বলেন ফিসফিসিয়ে, "ঘুষ গিয়েছে চুরি!"
চমকে গিয়ে কান্ত ভাবে, এও কি হয় সত্যি!
বাবুর ঘুষের প্রসাদ পেয়েই লাগছে গায়ে গত্তি।
ঠিকই শুনি, দিন কখনো সবার সমান যায় না,
ঘুষের টাকাও যাচ্ছে চুরি, কক্ষনো যা হয় না।
রেগে আগুন তেলে বেগুন, ফুঁসে বলেন তিনি,
"একশ মোটে এক প্যাকেটে, কে দিল কি জানি!
জানলে পরে নিতুম না খাম, কে করে হাত ময়লা?!
এই ক'টাকা নেয় তো শুধু পাড়ার মোড়ের গয়লা।
লাগছে যেন দিনদুপুরে করলো আমায় জবাই,
ঠিক সময়ে কাজ হাতিয়ে সুযোগ খোঁজে সবাই।"
অনেক ভেবে বলেন, "এসব চলবে না আর হেথায়,
ঘুষ মেরে কেউ পার পাবে না, যায় দেখি সব কোথায়!
কাজের আগে 'বাবু, বাবু', তেল মাখাবে জবর,
কাজ মিটলে টাকার বেলায় থাকবে না তো খবর।
ইচ্ছে করে এই ব্যাটাদের এক এক করে বাছি,
ঠকবাজদের পকেটগুলো আগেই করি কাঁচি।
ঘুষের সাথে মামদোবাজি - ঘুষ কি কারো কেনা?
কার ক্ষমতা কোথায় কত, ঘুষ দিয়ে যায় চেনা।"

Comments

Popular posts from this blog

An African Diary : A marvellous journey inside the Maasai Mara

A three-day affair with Mexico City

বিশ্বকাপ