বিশ্বাস

আলোটা ক্রমশ এগিয়ে আসছে,
আর এক এক করে ফুটে উঠছে সেই দিনগুলো।
প্রথম যেদিন খবরটা শোনে -
মাকে জড়িয়ে ধরে হাউহাউ করে কেঁদে উঠেছিল
বছর পঁচিশের অন্তর্মুখী ছেলেটা
তবু গভীর বিশ্বাসে বলেছিল
"ও ঠিক ফিরে আসবে।"
যেদিন শিয়ালদার হোটেলে মনমরা ছেলেকে দেখে
থাকতে না পেরে বাবা বলে উঠল,
"সব নিজের মধ্যে কেন চেপে রাখিস?"
সেদিনও শুকনো হেসে ছেলেটা বলেছিল,
"সব ঠিক হয়ে যাবে, দেখে নিও।"
আর করুণমুখে সাহায্য চাওয়ায়
যখন সেই মেয়েটা ভিখিরির মত দুরছাই করে বলল,
'আমাকে এসব বলা বন্ধ করো',
তখনও কান্না চেপে বলেছিল,
"আমি জানি, একদিন ভুল বুঝবেই।"

আজ হাইওয়ে ধরে -
আলোর দিকে ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটছে ছেলেটা।
তুমি বলেছিলে ঠিকই
ওকে বিশ্বাস করা যায় না,
তবু ও এগিয়ে চলেছে আলোর দিকে।
মনে একটুকরো বিশ্বাস - অন্ধকার কাটবেই;
তুমি একদিন ফিরবেই ওর কাছে,
আর আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখবে তোমরা।
সবই নিয়তি!
অন্তর্মুখী, বোকা, চাপা ছেলেটা বোঝেনি
আলোর দিকে এগোলেই অন্ধকার কাটে না।
আধ মিনিটের ব্যাপার -
ছেলেটার সর্বস্বান্ত শরীরটা নিঃস্ব হয়ে গেল,
স্বপ্নগুলো বেঁচে রইল স্বপ্ন হয়েই;
শুধু হাইওয়েতে আর লরির চাকায় লেগে রইলো
পঁচিশ বছরের কিছু পুরোনো রক্ত, একমুঠো আশা
আর একবুক বিশ্বাস।

Comments

Popular posts from this blog

A three-day affair with Mexico City

An African Diary : A marvellous journey inside the Maasai Mara

অভ্যেস